রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ভোটের দু’দিন আগেও পরিস্থিতি সামলাতে অনেকটা অসহায় কণ্ঠে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিউদ্দীন আহমদ রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রার্থী-সমর্থকদের রাশ টানার অনুরোধ জানিয়েছেন। সোমবার রাতে নিজের কার্যালয় ছাড়ার সময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মাধ্যমে দলগুলোর প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি। এদিন মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের প্রচার।
প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ২০টি দল অংশ নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত হামলা-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। ইসি ক্ষমতাসীনদের ‘আজ্ঞাবহ’ হয়ে কাজ করছে এবং বিধি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো উপেক্ষা করছে বলে বিএনপির অভিযোগ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, ইসি বিএনপিকে ‘বাড়তি সুবিধা’ দিচ্ছে।
দলীয় প্রতীকে প্রথম পৌর নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ এলেও অধিকাংশটির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হাতে ছেড়ে দিয়েও সমালোচিত হয়েছে ইসি। কাজী রকিব বলেন, “যেহেতু এটা পলিটিক্যাল নির্বাচন, পলিটিক্যাল পার্টিরাও যেন তাদের অনুসারী এবং প্রার্থীরাও যাতে তাদের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণে সহয়তা করেন।”
দু’দিন পর ২৩৪ পৌরসভায় ভোটের জন্য ইসির প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
“আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্বাচনী সরঞ্জাম জেলায়-জেলায় পৌঁছে গেছে। সেখান থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে চলে যাবে। কাজেই ভোটার, প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের জানাতে চাই-পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
সিইসি জানান, প্রতিটি পৌরসভায় বিজিবি থাকছে। এছাড়া র্যাব , আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), আনসার থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছি। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সেনা মোতায়েনে বিএনপি চেয়ারপারসনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে কাজী রকিব বলেন, “আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। যতটুকু দরকার ছিল, তার চেয়ে বেশি মোতায়েন করেছি। প্রতিটি পৌর সভায় বিজিবি মোতায়েন করেছি।” নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ‘শঙ্কা’ নেই বলে মনে করেন তিনি।